উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দেশের বাইরে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান। এর আগে সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী, জনগণের সবচেয়ে আদরের নেত্রী, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন। তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি রাতেই বিদেশে যাচ্ছেন। সেই কারণে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ তাকে বিদায় শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। সেই সঙ্গে তার সঙ্গে আমরা আলাপ করেছি কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা শেষে পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালা আমাদের মাঝে এবং দেশের মানুষের মাঝে ফিরিয়ে তাকে নিয়ে আসেন। আমাদের গণতন্ত্রের জন্য যে লড়াই চলছে সেই সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দেন এবং সেই সংগ্রামকে সফল করেন। বাংলাদেশের মানুষের সেটাই প্রত্যাশা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করছি তার এই যাত্রা যেন সফল হয় এবং সুচিকিৎসার পরে আমাদের মাঝে যেন ফিরে আসেন।
আজকে কোন রাজনৈতিক আলাপ হয়নি বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া নির্দেশনা দিয়েছেন যে একসাথে কাজ করো; জনগণের পক্ষে কাজ করো। আমরা আশা করি তিনি চিকিৎসা শেষে দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে ফিরোজায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। তাদের মধ্যে দীর্ঘ ৩০ মিনিট আলোচনা হয়।