দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৭ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল কাদের আজাদের (এ. কে. আজাদ) প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী এই তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে শিল্পমন্ত্রী আরো জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি ভর্তুকির আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। আর লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান কমাতে বা ভর্তুকি থেকে বের হতে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তুকি থেকে বের হওয়াসহ লোকসান কমানোর লক্ষ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন আছে।
লোকসানের কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী জানান, ইউরিয়া সার কারখানাগুলো প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক গ্যাসের অপ্রতুলতায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় কারখানাগুলো লোকসানে আছে। ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য সার কারখানাগুলোর প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সারের নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী জানান, ১৯৮৭ সালে ১৫ দশমিক ৬ একর জমিতে বাস্তবায়িত বিসিক শিল্পনগরী ফরিদপুরে ১০৭টি শিল্প প্লট রয়েছে। এসব প্লট ৪২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে অব্যবহৃত শিল্প প্লট নেই।