সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : April 08, 2024

বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংক দুটি একীভূত হলেও আগামী তিন বছর আলাদা আর্থিক প্রতিবেদন করবে।

এদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) অধিগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছে সোনালী ব্যাংক। সোমবার পর্ষদ সভা শেষে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম জানান, পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন করলে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। একীভূত করার ফলে গ্রাহকের আমানত সুরক্ষিত হবে বলে আশা করেন তিনি। 

গত ৫ এপ্রিল ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।  নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন। এছাড়া একীভূত হওয়া দুই ব্যাংকের মধ্যে দুর্বল অবস্থার ব্যাংকের পরিচালক পরবর্তী ৫ বছর অন্য কোনো ব্যাংকে পরিচালক হতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এ বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। দুর্বল ব্যাংকগুলো স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে আগামী বছর থেকে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হবে।

এ দুটি ব্যাংক ছাড়াও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এ নিয়ে মোট আটটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এর মধ্যে সরকারি ব্যাংক দুটি আর বেসরকারি দুটি। 

গত মার্চ মাসে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চুক্তি করে পদ্মা ব্যাংক।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, ‘সোনালী ব্যাংক হচ্ছে রাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক। আমাদের ব্যালেন্সশিটের সাইজ অনেক বড়। যদি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে মিলি, এ ধরনের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে আমাদের বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে না। আমি মনে করি, আমাদের ইকোনমি যেভাবে আগাচ্ছে, এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে। ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য ভালো হবে। সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা হচ্ছে, ব্যাংকের যারা গ্রাহক এটা তাদের জন্য বড় স্বস্তির খবর। কিছুটা দুর্বল যে ব্যাংকটা রয়েছে সেটি একটি ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে এটা আমাদের আমানতকারীদের জন্য সুখবর।’  

ব্যাংক একীভূত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, একীভূত হলে মূলধন, তারল্য, খেলাপি ঋণ ইত্যাদি আর্থিক সূচকগুলো প্রভাবিত হতে পারে। ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক সিআরআর, এসএলআর, এনএসএফআর, এলসিআর সংরক্ষণে একটি অংশ অব্যাহতি দিতে পারবে। মূলধন বাড়ানোর জন্য শেয়ার ইস্যু, পারপেচুয়াল বন্ড এবং সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুতে সহায়তা করবে।

Share This