 
														
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে তাণ্ডব চালানো হারিকেন মেলিসায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জ্যামাইকা ও কিউবার আঘাত হানার পর এটি এখন এগিয়ে যাচ্ছে বারমুডার দিকে। এছাড়া শক্তিশালী সামুদ্রিক এ ঝড়টির গতিও বেড়েছে।
জ্যামাইকার তথ্যমন্ত্রী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বলেছেন, জ্যামাইকায় ১৯ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকারীরা হতাহতদের খুঁজে বের করার কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
গত ১০০ বছরের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জ্যামাইকার বহু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মানুষের ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে লাখ লাখ মানুষ দুই-তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় আছেন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ধ্বংসস্তূপ।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে রিজার্ভ সেনাদের ডেকেছে জ্যামাইকার সরকার।
গত মঙ্গলবার ক্যাটাগরি-৫ হারিকেন হিসেবে জ্যামাইকায় আছড়ে পড়ে মেলিসা। জ্যামাইকার ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো কোনো হারিকেন তাদের উপকূলে সরাসরি আঘাত হেনেছে। এছাড়া ১৯৮৮ সালের পর সেখানে আঘাত হানা অন্যতম বড় ঝড় ছিল এটি।
হারিকেনটি যখন স্থলে আঘাত হানে তখন এটির বাতাসের শক্তি অস্বাভাবিকরকম বেশি ছিল। ফোরকাস্টার এবং অ্যাকুওয়েদার জানিয়েছে, বাতাসের শক্তির হিসেবে আটলান্টিক অঞ্চলে এটি ইতিহাসে দ্বিতীয় শক্তিশালী হারিকেন ছিল।
বলা হয়েছিল, এটির আঘাতে পশ্চিম ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ৪৮ থেকে ৫২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হবে।
হারিকেন আঘাত হানার পর চারদিন হয়ে গেলেও এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরোপুরি নিরূপণ করা যায়নি।