জুলাইয়ে ২৭ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আনুমানিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। গত অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৯১৬ দশমিক ০৮ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে ১০ হাজার ১৪৯ দশমিক ৭৩ কোটি টাকার শুল্কের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৬০২ দশমিক ০৩ কোটি টাকা। মাসটিতে ১০ হাজার ৭৪৯ দশমিক ৪৮ কোটি টাকার মূসক (ভ্যাট) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ দশমিক ০৩ টাকা। জুলাইয়ে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এসেছে মূসক বা ভ্যাট খাত থেকে।
এছাড়া ৯ হাজার ২১১ দশমিক ৭৫ কোটি টাকার আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ২৯৫ দশমিক ০৩ কোটি টাকা।
জুলাই মাসে কোনো টার্নওভার কর আদায় হয়নি। ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে ১৬৯ কোটি টাকা, গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় ছিল ১৪৭ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে রাজস্ব বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ জানান, জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাতে প্রবৃদ্ধির হার ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এছাড়া আয়কর খাতে প্রবৃদ্ধির হার ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও শুল্কে প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে ১৭ শতাংশ।
বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে বড় ঘাটতিতে পড়ে সরকার। অর্জিত হয়নি সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও। অর্থবছরের শেষ দুই মাস মে ও জুনে এনবিআরের আন্দোলনে অস্থিরতা আরও বাড়ে। বিগত বছরগুলোতে সাধারণত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রাজস্ব আদায় বাড়ার চিত্র দেখা গেলেও এবার সেটি হয়নি।