স্বৈরাচারের দোসররা এখনো নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: ফারুক

স্বৈরাচারের দোসররা এখনো নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক : October 26, 2025

ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

 

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

 

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, স্বৈরাচারী সরকার প্রকাশনা শিল্পকে ধ্বংস করেছে। একসময় সত্য ও বাস্তবতার বই প্রকাশ করলেই হয়রানির শিকার হতে হতো। অনেক প্রকাশককে বই ছাপাতে কলকাতা পর্যন্ত পাঠাতে হয়েছে। গত ১৬ বছরে সরকার পাঠ্যপুস্তককে দলীয়করণ করে ইতিহাস বিকৃত করেছে—যা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে।

 

নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, আপনারা যেন কেবল নিজেদের প্রকাশনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকেন। দেশের, জনগণের ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সত্য কথা লিখুন। সৃজনশীলতা ও গণতন্ত্রকে ধারণ করে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরুন।

 

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা আশা করি, জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটি লেখনীর মাধ্যমে জনগণকে জানাবে—স্বৈরাচার পতন হলেও তার দোসররা এখনো নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে।

 

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে এবং ‘আমার ভোট আমি দেব’—এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় আসন্ন নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়, সে বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলকে প্রকাশনা খাতের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

 

এ সময় তিনি নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনাদের এই শ্রদ্ধা নিবেদন ও অঙ্গীকার বাংলাদেশের মুক্তচিন্তা ও সত্য লেখনীর ধারাকে এগিয়ে নিতে প্রেরণা জোগাবে।

 

অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, গত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার মুক্তচিন্তাকে রুদ্ধ করেছে, পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃত করেছে এবং প্রকাশনা শিল্পকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব এই শিল্পের পূর্ণ জাগরণ ঘটানো। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের বাস্তব চিত্র লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরাই হবে আমাদের কাজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার আবু সালেহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর, সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল, সহসভাপতি মো. মনিরুল হক ও মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দীপ্তি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ, হা. ন. ম. শরীফুল হক শাহ্জী, মো. আমিনুর রহমান প্রমুখ।

Share This