গরমে বাড়ছে রোগ, চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা
জবি প্রতিনিধি :
April 27, 2024
প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহের দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা তাপপ্রবাহের প্রভাব ফেলেছে দেশের হাসপাতালগুলোতে। এতে জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হিটস্ট্রোকসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ও হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে রোগীর ভিড়। আর উপচে পড়া রোগীর চাপে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।
তাই এই আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, সুতি কাপড় পরা এবং বেশি বেশি পানি পান করার পরামর্শ চিকিৎসকরা।
তাপপ্রবাহের শুরুতে ঠান্ডার প্রভাব থাকলেও এ পর্যায়ে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। গরম বাড়লে আরও রোগী বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মুহাম্মদ অঅল আমিন সেতু বলেন, প্রথম ধাপে হিট রেশ বা হিট ইডিমায় শরীর একটু ফুলে যায়। তারপর হিট ক্রেম্প হয়, এতে শরীরে কামড়ায়, প্রচণ্ড ব্যথা হয়। হিট সিনকোপে অতিরিক্ত ঘেমে রোগীর রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এর পরের ধাপটা হচ্ছে হিট এক্সারশন, আর সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে হিটস্টোক। হিটস্টোক হলে ঘাম ঝরে না, এতে রোগী অচেতন হয়ে যান।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটুও গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও খাবার স্যালাইন পান করার পরামর্শ দেন।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গরমে সুস্থ থাকতে সুতি ও হালকা রঙের, বিশেষ করে সাদা কাপড় পরতে হবে। একটানা বাইরে কাজ করা যাবে না। রিকশাচালক, হকার বা যারা বাইরে কাজ করেন তারা যেন কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নেন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ঠান্ডা পানি খাওয়া যাবে না, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর পানি খেতে হবে।
এ অবস্থায় গরমের প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য কাজের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, জীবিকার জন্য অনেককে বাইরে বের হতে হয়। এটার পরিবর্তন করা দরকার। নির্মাণ শ্রমিকের ক্ষেত্রে নিয়ম করা যেতে পারে যে তারা সন্ধ্যার পর কাজ করবে।
Share This