বাংলাদেশিদের অভাবে ভারতের বনগাঁয় হোটেল ব্যবসায় ধস

বাংলাদেশিদের অভাবে ভারতের বনগাঁয় হোটেল ব্যবসায় ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক : December 01, 2024

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ অঞ্চলে ব্যবসায় ধস নেমেছে। এর পেছনে বাংলাদেশি ক্রেতা ও পর্যটক না আসাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, চার মাস আগে বাংলাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থা কঠোর করেছে ভারত। ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের জেলাগুলোতে কমে গেছে বাংলাদেশি ক্রেতা ও পর্যটক। আর এর প্রভাব পড়েছে ব্যবসার ওপর।

সরেজমিন দেখা গেছে, বনগাঁ বাজার, মতিগঞ্জ বাজার এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীর এলাকাগুলো ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। সাধারণত মহামারি ছাড়া এমন নির্জন, জনশূন্য বাজার দেখা যায় না। ব্যবসায়ীরা বিরসমুখে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে আছেন।

বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, গত কয়েক মাসে বনগাঁর ব্যবসা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমে গেছে।

পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে ৬ কিলোমিটার দূরের ‘তাও বাজার’। সেখানে গিয়েও দেখা যায়, রাস্তাঘাট ফাঁকা। দোকানপাট ক্রেতাশূন্য। সেখানকার ব্যবসায়ী তুলি স্টোরের গৌতম হালদার বলেন, ‘আমার দোকানের বিক্রি ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।’

বনগাঁয় পর্যটন, কেনাকাটা ও চিকিৎসাসেবার জন্য প্রচুর বাংলাদেশি আসেন। কিন্তু সম্প্রতি এ অঞ্চলে বাংলাদেশি পর্যটক–ক্রেতা–রোগীর সংখ্যা প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। ১৯৪৭ সালের পর এতটা ব্যবসায়িক ধস বনগাঁয় নামেনি কখনো।

বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে মতিগঞ্জ। সেখানকার সন্তোষী লজের সত্ত্বাধিকারী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘গত ৭০–৮০ বছর ধরে বনগাঁর পর্যটন ব্যবসা উর্ধ্বগতিতে ছিল। এবারই সেখানে বড় ধরনের ধাক্কা লাগল।

যশোর রোডের মায়ের আশির্বাদ গেস্ট হাউসে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকশূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গেস্ট হাউসটির মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা বলেন, ‘করোনা মহামরির সময় ছাড়া এতটা সঙ্কট আমরা কখনো দেখিনি। বাংলাদেশিরা না আসায় আমাদের হোটেল ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। এ ছাড়া অটো, টোটো ও রিকশাচালকদেরও মাথায় হাত পড়েছে।

Share This