ইরানের চাবাহার বন্দরে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে ৬ মাস ছাড় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই বন্দরে ভারতের বেশ বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া বন্দরের একটি অংশ পরিচালনা করে নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছর ভারত ইরানের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করে। এ চুক্তির আওতায় ভারতের রাষ্ট্রয়াত্ব কোম্পানি ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) বন্দরটিতে ৩৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কঠোর বাণিজ্য আলোচনা হচ্ছে। এরমধ্যেই জানা গেলো, ইরানের চাহাবার বন্দরে নিষেধাজ্ঞার ওপর মার্কিনিরা ছাড় দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বলেছেন, “বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছি। উভয় পক্ষ আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।”
এরআগে ২০১৮ সালে ইরানের চাহবার বন্দরে ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে কার্যক্রম পরিচালনায় ‘বিরল’ ছাড় দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ওই সময় ইরানের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিনিরা।
ইরানের সবচেয়ে বড় বন্দর হলো বন্দর আব্বাস। যেটি এখন ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি পণ্য লোড ও খালাস করছে।
গতমাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের চাহাবার বন্দরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তেহরান পারমাণবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন অভিযোগ তুলে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
চাহাবার বন্দরটি ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের উপকূলে অবস্থিত। ভারত বন্দরটির শহীদ বেহেস্তি টার্মিনালটি পরিচালনা করছে। এছাড়া আফগানিস্তানের জন্যও চাহাবার বন্দর বেশ গুরুত্বপুর্ণ। স্থলবেষ্টিত হওয়ায় পাকিস্তানকে টপকে সমুদ্রে পথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে তারা চাহাবার বন্দরের ওপর নির্ভরশীল।