অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক হঠাৎ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। মূলতঃ আগামী বছর থেকে ব্যস্ত টেস্ট সূচি এবং ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে মনোযোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এই পেসার।
স্টার্ক অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মোট ৬৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। সর্বশেষ তিনি খেলেছেন ২০২৪ বিশ্বকাপে, যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ৭৯ উইকেট, যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানে ৪ ছিল তার সেরা বোলিং ফিগার।
অবসর ঘোষণা নিয়ে স্টার্ক বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট সবসময়ই আমার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ উপভোগ করেছি। বিশেষ করে ২০২১ সালের বিশ্বকাপ, শুধু জয় পাওয়ার জন্যই নয়, বরং সেই দারুণ দল আর অভিজ্ঞতার জন্যও এটা আমার কাছে বিশেষ।’
আগামী বছর থেকে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ত টেস্ট সূচি। এর মধ্যে রয়েছে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, চার টেস্টের নিউজিল্যান্ড সিরিজ, ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে ভারতের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ, মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ বছর পূর্তি টেস্ট এবং মাঝ বছরে অ্যাশেজ সিরিজ।
এরপর অক্টোবর-নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, যেখানে অস্ট্রেলিয়া নামবে শিরোপা রক্ষার মিশনে।
স্টার্ক বলেন, ‘ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ, অ্যাশেজ এবং ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আমি মনে করি সতেজ ও ফিট থাকার জন্য এটিই সেরা সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে এটি বোলিং গ্রুপকে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির সুযোগ দেবে।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, ‘মিচ তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের জন্য গর্বিত হতে পারে। তিনি ২০২১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। যেভাবে তিনি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারতেন, সেটি অসাধারণ। আমরা যথাসময়ে তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার উদযাপন করব, তবে খুশির বিষয় হলো তিনি এখনও টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলার জন্য সম্পূর্ণ মনোযোগী।’
স্টার্কের অবসরের ঘোষণার মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। দলে ফিরেছেন মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাট শর্ট। অন্যদিকে নাথান এলিস ব্যক্তিগত কারণে এবং ক্যামেরন গ্রিন শেফিল্ড শিল্ডে খেলার জন্য এই সিরিজে থাকছেন না।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দল (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে):
মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, জেভিয়ার বার্টলেট, টিম ডেভিড, বেন ডওয়ারশুইস, জশ হ্যাজলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, ম্যাট কুনেম্যান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল ওয়েন, ম্যাথিউ শর্ট, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যাডাম জাম্পা।