ছয় মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন নেপালের সুশীলা কার্কি

ছয় মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন নেপালের সুশীলা কার্কি

আন্তজার্তিক ডেস্ক : September 14, 2025

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি।

২০২৬ সালের ৫ মার্চ নেপালে নতুন নির্বাচন হবে। গত শুক্রবার রাতে সুশীলা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এরপর তার অনুরোধে ওইদিন রাতেই দেশটির জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সুশীলা বলেছেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করিনি। আন্দোলনের কণ্ঠস্বরের কারণেই আমি এ দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়েছি।

নেপালে গত সপ্তাহে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে ৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই কেপি শর্মা অলির সরকারের পতন হয়েছে। এরপর জেন-জির অনুরোধে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সুশীলা বলেছেন, “জেন-জি প্রজন্ম যেভাবে চিন্তা করে আমাদের ওইভাবে কাজ করতে হবে। তারা যা চাচ্ছে তা হলো দুর্নীতির অবসান, ভালো শাসন এবং অর্থনৈতিক সমতা।

নেপালে গত সপ্তাহে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে ৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই কেপি শর্মা অলির সরকারের পতন হয়েছে। এরপর জেন-জির অনুরোধে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সুশীলা বলেছেন, “জেন-জি প্রজন্ম যেভাবে চিন্তা করে আমাদের ওইভাবে কাজ করতে হবে। তারা যা চাচ্ছে তা হলো দুর্নীতির অবসান, ভালো শাসন এবং অর্থনৈতিক সমতা।

নেপালের আন্দোলন শুরু হয় মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায়। কিন্তু পুলিশ বিক্ষোভাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে এটি সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। দুইদিনের ব্যাপক সহিংসতার পর সরকারের পতন ঘটে।

আন্দোলন চলাকালে পার্লামেন্ট ভবন এবং সাবেক সরকারের এমপি মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেও আগুন দেওয়া হয়।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে আগুন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোয় এর নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি। তিনি বলেছেন, “যারা জরুরি এসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে তারা নেপালি হয়ে থাকে, আমি লজ্জিত। তাদের কীভাবে নেপালি বলা যায়।”

সুশীলা কার্কি নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি মাত্র ১১ মাস এ দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তিনি অভিসংশনের মুখে পড়েছিলেন। তবে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে তৎকালীন সরকার তাকে অভিসংশনের চেষ্টা থেকে সরে আসে। কিন্তু এর কয়েকমাস পর তিনি নিজেই পদত্যাগ করেন। প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় সাধারণ নেপালিদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

Share This