লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে কাজ করা আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। পাশাপাশি সেখানে জনশক্তি রফতানির সুযোগ কাজে লাগানার তাগিদও দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ মে) দুপুরে বঙ্গভবনে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই তাগিদ দেন।
লিবিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি লিবিয়ায় বাংলাদেশের জনশক্তি ও বিভিন্ন পণ্য রফতানির সুযোগকে কাজে লাগাতে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন।
প্রকৃতপক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার দেশগুলোকে টার্গেট করে বাণিজ্যিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিকল্প এখন আসলে অন্যকিছু হতে পারে না। ইউরোপ, আমেরিকার প্রচলিত বাজারের বাইরে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একক বাজার নির্ভরশীলতা থেকে সরে আসছে ক্রেতারা। যা বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনা দুয়ার খুলে দিয়েছে। সুতরাং এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাজারজাতকরণ কৌশল ও দক্ষতা বাড়াতে হবে বাংলাদেশকে।
এছাড়াও দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে বিশ্বব্যাপি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পের বাজার দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এখানে ভালো করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। পাশাপাশি ঔষধ, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, হালকা প্রকৌশল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক এবং প্লাস্টিক পণ্যের সম্ভাবনাও অপরিসীম। লিবিয়ায় এসব পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে দেশটির বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদারে দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠক শেষে প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতসমূহ লিবিয়ার বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।