জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে ‘গণছুটি’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলন চলাকালে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বিঘ্ন যেন না ঘটে সে জন্য ৮০টি সমিতির উপকেন্দ্রগুলোতে দুজন করে বিদ্যুৎকর্মীকে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন জানায়, পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার, চাকরি বৈষম্য দূর ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের গণছুটিতে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সরকারকে উদ্দেশ করে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো প্রকার ইন্ধনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করিনি। আমরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। এ ছাড়া আমরা সরকার ও দেশের জনগণকে এটা নিশ্চিতভাবে বলতে চাই, বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনোরূপ বিঘ্ন যেন না ঘটে তার জন্য ৮০টি সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে উপকেন্দ্রগুলোতে ডিউটি যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য দুজন বিদ্যুৎকর্মীকে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করছি।’
পাশাপাশি তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নযোগ্য সব সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নিপীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত বিদ্যুৎব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন শুরু হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সংস্কারের লক্ষ্যে গত ২৩ অক্টোবর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ১৬ দিন নিরবচ্ছিন্ন বিদুৎ সরবরাহ চালু রেখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
এ ছাড়া শহীদ মিনারে অবস্থানকালে গত ৫ জুন বিদ্যুৎ বিভাগের লিখিত আশ্বাস ও ১৭ জুন দুটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কমিটির প্রতিবেদন দেওয়াসহ কাজের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী বর্তমানে গণছুটিতে অবস্থান করছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।