গত এক দশকে দেশে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। দশ বছর আগে ২০১৫ সালে যৌন সহিংসতা ছিল ২৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে যৌন সহিংসতা বাড়লেও শারীরিক সহিংসতা কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) বিবিএস অডিটোরিয়ামে ‘নারীদের ওপর সহিংসতা শীর্ষক জরিপ ২০২৪’ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এতে সহায়তা দিয়েছে জাতিসংঘের ইউএনএফপিএ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী তাদের জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতার শিকার। বাংলাদেশে জীবনসঙ্গীর দ্বারা সহিংসতা এখনও ব্যাপকভাবে বিদ্যমান, যা লাখ লাখ নারীর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে।
জরিপে চার ধরনের সহিংসতার তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে- শারিরীক সহিসংতা, যৌন, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক সহিসংতা।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ বলেন, মানসিকতার কারণে ভায়োলেন্স বাড়ে। ইউরোপ আমেরিকার মতো জায়গায়ও নারীর প্রতি সহিংসতা রয়েছে। হজের সময় নারী পুরুষ সবাই থাকে কিন্তু সেখানে সহিংসতার কোন ঘটনা ঘটে না। কারণ সেখানে তাদের ধর্মীয় উদ্দেশ্য থাকে, তাদের মাথায় সহিংসতার কোন চিন্তাই আসে না। তাই নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে মানসিক পরিবর্তন দরকার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ( বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং পরিসংখ্যাস ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আকতার। অতিথি ছিলেন ইউএনএফপিএ এর রিপ্রেজেনটেটিভ মাসাকি ওয়াটাবে এবং অষ্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লাইনটন পবিক। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ইফতেখার করিম। প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপঙ্কর রায়।