ঈদের সময় ঢাকার প্রবেশ মুখে যানজট যেন না হয়, সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে। ঈদের পর মনিটরিং কমে যায়। আর এতে বেড়ে যায় দুর্ঘটনা। এটি যেন আর না হয়। ঈদের সময় যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ও যানজটের ১৫৫ টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে ঈদযাত্রার প্রস্তুতি সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, রিমালের জন্য বেশকিছু সড়কে সমস্যা হয়েছে। ঈদের সাতদিন আগে এগুলো সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে। আর বর্ষার মধ্যে ঢাকার সড়কে যে কোনো ধরনের খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করার জন্য সব কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
যানজট কমানে পর্যায়ক্রমে গার্মেন্টস ছুটি দেবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিআরটিসির গাড়ি গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য বেশি জরুরি। তাই চন্দ্রাসহ গাজীপুর এলাকায় বিআরটিসির গাড়িগুলো বেশি রাখার নির্দেশ তিনি।
এ সময় কর্মকর্তাদের ভর্ৎসনা করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, মিটিংয়ের নামে আনুষ্ঠানিকতা করে লাভ নাই। নিয়ম মানবেন না, নির্দেশনা মানবেন না। তখন এতো আলাপের প্রয়োজন কী।
‘বিআরটিসি এখন লাভের মুখ দেখেছে। নিয়ম ফিরেছে, তবে অল্প বয়সী চালক কমাতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
সড়কে চলাচল করা বাসের ফিটনেসের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাদের বলেন, রংচং দরকার আছে। তবে তার আগে দরকার ফিটনেস।
মন্ত্রী, এমপি যার লোকই হোক না কেন, হেলমেট ছাড়া ফিলিং স্টেশন থেকে কোনো ভাবে জ্বালানি তেল দেয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আর এবার মহাসড়কের উপর ২১৭টি কোরবানির পশুর হাট করার স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আ/ম