দেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য দুটি সময়সীমা রয়েছে। এরই মধ্যে একটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি হতে পারে। তবে জনগণ কতটুকু সংস্কার চায় তার ওপর নির্ভর করছেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রিটিশ এমপি রূপা হকের সঙ্গে সাক্ষাতে নির্বাচনের প্রসঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে ছিল ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি ও ভুয়া স্পিকার।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ এখন তাদের কণ্ঠ ফিরে পেয়েছে। তাদের কণ্ঠ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এ সময় ব্রিটিশ এমপি রূপা হক আগামী সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান।
কী কারণে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে জনগণের ওপর নিপীড়নের ঘটনাগুলো তুলে ধরেন তিনি।
পরে রূপা হক আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আবার আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান উপস্থিত ছিলেন।