রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক শিক্ষককে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১ মার্চ) উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বাসুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ অনুযায়ী, বাসুপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে মোছা. সিনথিয়া (১৭) একই ইউনিয়নের কাজুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাসুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. সামাজুল ইসলামের (৪৮) কাছে প্রাইভেট পড়তে যান। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে সিনথিয়াকে আরও আধা ঘণ্টা থাকার নির্দেশ দেন শিক্ষক। এরপর তিনি ছাত্রীটির শরীরে স্পর্শ করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
সিনথিয়া বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে তার বাবা সাইদুর রহমান ও চাচা শাহীন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করেন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। সংঘর্ষে আহত হন শিক্ষক সামাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী রোখসানা বেগম এবং ছেলে সামাউল ইসলাম।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শ্লীলতাহানির শিকার স্কুলছাত্রী জানায়, প্রতিদিনের মতো সে সেদিনও প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। অন্যান্যদের ছুটি দিলেও শিক্ষক তাকে থাকতে বলেন এবং একপর্যায়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করেন। পরে সে দ্রুত বাড়ি ফিরে বিষয়টি পরিবারকে জানায়।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক সামাজুল ইসলাম শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, দীর্ঘ চার মাসের প্রাইভেট পড়ানোর বেতন পাওনা ছিল, যা চাওয়ার কারণেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।