হোয়াসঅ্যাপ, ইমো, টেলিগ্রাম ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নানা রকম প্রতারণা বন্ধে একজন গ্রাহকের সর্বোচ্চ ১০টির বেশি সিম নয়। অর্থাৎ ১০টির বেশি অতিরিক্ত সিম গ্রাহকদের এসএমএস বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবগত করে ধাপে ধাপে বন্ধ করা হবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানায়, সিম বন্ধে হয়ে যাওয়ার আগে নিজের অপ্রয়োজনীয় সিমের নিবন্ধন বাতিল করার সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত মে মাসে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারবে বলে কমিশন মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। জাতীয় নিরাপত্তা, অপারেটরদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক অনুশীলন চর্চা বিবেচনায় নিয়ে একজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিমের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ অনুমোদন দিয়েছে। বিটিআরসির ২৯৬তম কমিশন সভায় সিমের সংখ্যা কমিয়ে আনার পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরা হয়। সংস্থাটি বলছে, সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিবন্ধনের সুযোগ বেধে দিলে ২৬ লাখ ব্যবহারকারীর ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যাবে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৫। এর মধ্যে ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ ব্যবহারকারীর নামে ৫টি বা তার কম সিম রয়েছে। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ ব্যবহারকারীর কাছে। ১১ থেকে ১৫টি সিম ব্যবহারকারী মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বিটিআরসি শুরুতে জানিয়েছিল, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে মোবাইল অপারেটরদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই সময়সীমা পিছিয়েছে।