বেদখল বা জবরদখল জমি উদ্ধার করা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। কারণ, সরকার সম্প্রতি দেওয়ানি কার্যবিধিতে পরিবর্তন এনেছে এবং নতুন কিছু নিয়ম যুক্ত করেছে, যা বিচারিক প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও সাধারণ মানুষের জন্য সহজ করে তুলবে।
আগে জমি উদ্ধারের জন্য মালিকদেরকে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা করতে হতো, প্রচুর কাগজপত্র দিতে হতো, সাক্ষী হাজির করতে হতো এবং বিপুল খরচ করতে হতো। কিন্তু এখন থেকে শুধুমাত্র দলিল, খতিয়ান, ওয়ারিশ সনদ ইত্যাদি জমা দিলেই আদালত তা যাচাই করে দ্রুত রায় দেবে।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো— এখন আর জমির মালিকদেরকে সাক্ষী হাজির করতে হবে না। তাদের লিখিত আবেদন ও দলিল আদালত গ্রহণ করবে, এবং সাক্ষীর প্রয়োজন হলে কেবল তখনই আদালত কাউকে ডেকে পাঠাবে।
অতিরিক্ত আরেকটি বড় সুবিধা হলো— আদালত এখন থেকে রায় দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিতে পারবে। আগে এই কাজের জন্য নতুন মামলা করতে হতো।
এছাড়া, যারা জমি দখল করে বসে আছে, অথচ আদালতের নির্দেশ মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও জেল পর্যন্ত হতে পারে। আগে জরিমানার পরিমাণ ছিল ২০ হাজার টাকা, এখন সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
দেশের সব আদালত এই নিয়ম অনুযায়ী কাজ করবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ সহজেই তাদের জমি উদ্ধার করতে পারবেন, আর দীর্ঘ ভোগান্তির দিন শেষ হবে।