ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তিনি দেশ ছাড়েন।
সেই সরকারের পতনের এক বছর পূর্ণ হতে এখনো বাকি ৪৫ দিন। এমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লা আসছেন কলকাতায়।
শনিবার (২১ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর ‘নবান্নে’ সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যদিও মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়, নিছক ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’।
রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় তিনি কলকাতা পৌঁছাবেন। পরদিন সকালে ডেপুটি হাইকমিশনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেলা গড়ালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন রিয়াজ হামিদুল্লা। দায়িত্ব গ্রহণের পর এবারই প্রথম তিনি পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন।
নবান্ন সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলার ঘটনা, সীমান্ত পরিস্থিতি ও দুই বাংলার পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়গুলো বৈঠকে স্থান আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে ঢাকায় সফরের জন্য।
এছাড়া মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রসার ভারতীর সাবেক সিইও ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের একান্ত বৈঠকেরও সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। তবে এই সফরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সঙ্গে হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ হবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়।
গত ৯ বছরে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কোনো হাইকমিশনারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হয়নি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে তৎকালীন হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলির সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এরপর দুই বাংলার শীর্ষ পর্যায়ে আর কোনো বৈঠক হয়নি।