গত সোমবার (২১ জুলাই) শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে বাংলা ও বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষায় সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এমনকি প্রয়োজনে ভাষা আন্দোলন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ফের আরও একবার হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নের সভা ঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেন, বাংলার ব্যাপারে আসাম কি করে হস্তক্ষেপ করে? এটা শুধু নীতিগত নয়, অসাংবিধানিক, বেআইনি এবং ওরা কিন্তু সীমারেখা লঙ্ঘন করছে। আমি ডাবল ইঞ্জিন সরকার বিজেপিকে বলব, নিজেদের চরকায় তেল দিন। ওখানে তো কালী মন্দিরও ভাঙছেন, দাঙ্গা করছেন, ঘর-বাড়ি পুরিয়ে দিচ্ছেন, মানুষকে উচ্ছেদ করছেন, ডিটেনশন ক্যাম্পে সবাইকে রেখে দিয়েছেন। অনেক মানুষের নাম বাতিল করেছেন। এভাবে যদি ভেবে থাকেন আপনারা দেশ চালাবেন দেশটা কিন্তু বিভক্ত হয়ে যাবে। দেশ যদি একবার বিভক্ত হয়ে যায় তাহলে দেশের শক্ত কাঠামোটা নষ্ট হয়ে যাবে। এটা আমরা কেউ চাই না। আমরা চাই আমাদের দেশ ঐক্যবদ্ধ হোক এবং শক্তিশালী থাকুক।
এরপরেই মমতা ব্যানার্জি বলেন, বাংলাদেশি সন্দেহ করে আজকেও একটা চিঠি এসেছে হরিয়ানা থেকে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের। সেখানে অনেকগুলো নাম দেওয়া হয়েছে। মালদহ জেলা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা, উত্তর দিনাজপুর জেলা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, কুচবিহার, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এবং সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশকে বলা হয়েছে এসব নাম যাচাই করে আমাদের জানাও। এমএইচ গাইডলাইন অনুযায়ী। কি চাইছে বাংলাটাকে দখল করতে নাকি। এরা কি চাইছে, গায়ের জোরে বাংলাকে উঠিয়ে দিতে।
এরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভাষার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ভাষা সন্ত্রাস চলছে, মানুষের ওপর অত্যাচারের সন্ত্রাস চলছে। এবার প্রত্যেকটা জেলা বেছে বেছে জেলার মানুষদের সংকটে ফেলার চেষ্টা চলছে। আমি সবাইকে বলবো কেউ ভয় পাবেন না। আমরা আমাদের কাজ আমাদের মতো করবো। মানুষকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
তৃণমূলের এই নেত্রী বলেন, এসব করে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দিয়ে বিজেপি যদি মনে করে মহারাষ্ট্র ও দিল্লির মতো বাংলাকে দখল করবে তাহলে ভুল করছে। মানুষের বিস্ফোরণ গতকাল আপনারা দেখেছেন।