ফেনী, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। যা শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ হলেও উচ্চশিক্ষার জন্য বড় ধরনের সুযোগের অভাবে পিছিয়ে রয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অনেক জেলায় একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, কিন্তু ফেনী ও আশপাশের লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও চৌমুহনী অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখনো উচ্চশিক্ষার জন্য দূরবর্তী জেলা বা শহরের ওপর নির্ভরশীল।
এমন প্রেক্ষাপটে ফেনীতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি হতে পারে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষায়িত। এর নাম হতে পারে “Feni University of Science, Technology and Innovation (FUSTI)” or "Feni University of Technology and Innovation" (FUTI)
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা:
ফেনীর ভৌগোলিক অবস্থান এবং আর্থসামাজিক বাস্তবতা বিবেচনা করলে এই এলাকায় একটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত কার্যকর হবে। একদিকে চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চল, অন্যদিকে ফেনী ও নোয়াখালীর কৃষি নির্ভর অর্থনীতি । এ দুটির মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি করতে পারে FUSTI।
বিশেষায়িত বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ
বিশ্ববিদ্যালয়টি নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ জোর দিতে পারে:
এই বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা:
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, ফেনীর সামগ্রিক অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। স্থানীয় ছোট-বড় ব্যবসায় উন্নতি হবে, আবাসন ও পরিবহন খাত সক্রিয় হবে এবং জেলাটিকে ঘিরে একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে।
ফেনীর শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সময়ের দাবি। "Feni University of Science, Technology and Innovation (FUSTI)" এই অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকারের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপন , shipon114@gmail.com