দৈনিক কালেরকন্ঠের রিপোর্ট “সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিপুল সম্পদের খোঁজ মিলেছে”  আমাদের বিশ্লেষনঃ

দৈনিক কালেরকন্ঠের রিপোর্ট “সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিপুল সম্পদের খোঁজ মিলেছে” আমাদের বিশ্লেষনঃ

বিশেষ সংবাদদাতা September 22, 2024

মানুষ বস্তুনিষ্ঠ এবং সঠিক তথ্যভিত্তিক খবর আশা করে সকল পত্রিকা এবং সাংবাদিকদের নিকট হতে। আর এর ব্যাত্যয় ঘটলে মানুষের আস্থা হাড়িত ঐ পত্রিকা এবং সাংবাদিকের উপর থেকে। 

গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ কালেরকন্ঠে “সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিপুল সম্পদের খোঁজ মিলেছে” শিরোনামের রিপোর্ট টি বলা চলে গত ০৫ ই জুন ২০২৪ তারিখ মানবজমিনে শরিফ রুবেলের করা “জেনারেল আজিজের তেলেসমাতী” শিরোনামের রিপোর্টটি অনেকটা কাট এন্ড পেস্ট বললে ভুল হবে না। এখানে নতুনত্ব শুধু সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু করে আয়কর বর্ষ ২০২২-২০২৩ এর আয়কর রিটার্ন এ তার সম্পদের যেই তথ্য অফিসিয়ালী প্রতি বছর জমা দিয়েছেন তাই তুলে ধরে তার উপর তীলকে তাল বানানোর একটি ঘৃন্য চেস্টা করেছেন। অসৎ উদ্দ্যেশ্যে পরিচালিত মিথ্যা তথ্যে ভরপুর রিপোর্ট যা পড়লে সাধারন মানুষের মনে বিরুপ ধারনার জন্ম নিতে পারে জেনারেল আজিজের বিরূদ্ধে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঐ প্রতিবেদনটি যদি হয় মিথ্যা তথ্য সম্বলিত, তবে কি বলা যায়না যে ঐ পত্রিকাটি এবং ঐ হলুদ সাংবাদিক অসৎ উদ্দ্যেশে দেশের এবং সমাজের একজন সন্মানিত ব্যক্তির চরিত্র হরন এবং তাকে সমাজে হেয় করার উদ্দ্যেশ্যে ঐ প্রতিবেদনটি তৈরী করা হয়েছে? 

 

সাধারন বিচারে ঐ সেনসেশনাল শিরোনাম, মানবজমিনের ০৫ জুনের বানোয়াট রিপোর্টটি কপি করা, অতি দূর্বল গবেষণা, স্ক্যান্ডাল নির্ভর তথ্য, সর্বোপরি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টিংয়ের সকল কিছুই কালেরকন্ঠের রিপোর্টে স্থান পেয়েছে। নতুনতঃ দেখা যায় সাবেক সেনাপ্রধানের ১৯৯৮ সাল হতে ২০২২-২০২৩ পর্যন্ত জমা দেওয়া টেক্ট রিটার্ন এ উল্লেখ করা তার সহায় সম্পত্তির ফিরিস্তি। কালের কন্ঠ কি একবার ভেবেছে যে কোন মানুষ তার বাৎসরিক আয়কর রিটার্নস কি কখনও বৈধ আয়ের উৎসের বাইরে কিছু দেখায়??? এই বৈধ আয়ের উৎস হতে পারে তার বেতন-ভাতা, জাতিসংঘ মিশন, ল্যান্ড প্রপার্টি ক্রয়-বিক্রয় হতে অর্জন, পারিবারিক ব্যবসা বা অন্য কোন বৈধ উৎস হতে অর্জন। 

 

গত ০৫ জুন ২০২৪ দৈনিক মানব জমিন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশাল এক রিপোর্ট করেছিল যা অসত্য তথ্য দিয়ে গরুর রচনার ন্যায় তৈরী, বিভ্রান্তমূলক এবং উদ্দ্যেশ্যপ্রনোদিত। এ নিয়ে এপেক্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদ পাঠিয়েছে ঐ পত্রিকাটি ০৫ জুন ২০২৪ এর রিপোর্টের বিরুদ্ধে যা গত ১০ জুন ২০২৪ যা ঐ মানবজমিন পত্রিকার ২য় পৃস্ঠায় ছাপানো হয়েছে। নরসিংদী হেরিটেজ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষও অত্যন্ত কঠোর ভাষায় সমাজের সন্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে চরিত্র হরনের উদ্দ্যেশ্যে রিপোর্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে মানব জমিন দপ্তরে তাদের মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের জন্য। এছাড়াও “দৈনিক সময় সংবাদ” পত্রিকা গত ১৩ জুন মানব জমিনের গত ০৫ জুনের প্রতিবেদনের আলোকে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপিয়েছে যা সহজেই বলে দেয় মানব জমিনের ঐ প্রতিবেদনটি কত মিথ্যা তথ্যে ভরপুর, কান্ডজ্ঞানহীন এবং অসৎ উদ্দ্যেশ্যে ছাপা হয়েছিল। দেশের সচেতন মানুষ মানব জমিনের ঐ রিপোর্ট ঘৃনাভরে প্রত্যাক্ষান করে। 

 

কালের কন্ঠ এইবার মানবজমিনের ঐ ০৫ ই জুনের রিপোর্ট এর সাহায্য নিয়ে এবং এনবিআর হইতে সংগৃহিত সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের গত ২৫ বছরের আয়কর রিটার্নে (আয়কর বর্ষ ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু করে আয়কর বর্ষ ২০২২-২০২৩ এর আয়কর রিটার্ন) প্রদর্শিত সম্পদ বিবরনী তুলে ধরে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে যে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিপুল সম্পদের খোঁজ পেয়েছে কালের কন্ঠ। কালের কন্ঠ একবার কি ভাবার প্রয়োজন মনে করে নাই যে কোন ব্যক্তি তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ কি কখনও বাৎসরিক আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করবেন?? এই বৈধ আয়ের উৎস হতে পারে তার বেতন-ভাতা, জাতিসংঘ মিশন, ল্যান্ড প্রপার্টি ক্রয়-বিক্রয় হতে অর্জন, পারিবারিক ব্যবসা বা অন্য কোন বৈধ উৎস হতে অর্জন।

 

কালের কন্ঠ তাদের ২০ সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে মানবজমিনের ০৫ জুনের রিপোর্টের যেই সকল তথ্য কপি করে কাট এন্ড পেস্ট করেছে তা এখানে তুলে ধরা হলোঃ 

 

কালের কন্ঠ দাবী করেছে ঢাকা সেনানিবাসস্থ “পথিকৃৎ” নামক একটি বাড়ী নাকি জেনারেল আজিজের বাড়ি। সত্য হলো- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধানগন অবসরের পর তাদের এলপিআর এর এক বছর ঢাকা সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর যেই বাড়িতে থাকেন তার নাম “পথিকৃৎ” বাসা নং-৩, যাহা ঢাকা সেনানিবাসে আদমজী কলেজের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত। বর্তমানে সদ্য সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন তার ০১ বছরের এলপিআর পিরিয়ড ঐ পথিকৃৎ নামক বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। ঐ বাড়িতে অতীতের প্রায় সকল সেনাপ্রধানগন তাদের এলপিআরের অন্ততঃ ০১ বছর কাটিয়েছেন। 

অবসরে যাওয়া সকল সেনাপ্রধানদের এলপিআরের ০১ বছর সময় বসবাসের জন্য ঢাকা সেনানিবাসের আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ঠিক উল্টো দিকের বাসা নং-৩, সেনাবাহিনীর নির্ধারিত বাড়ীটি “পথিকৃৎ” কি করে একজন সাবেক সেনাপ্রধানের নিজস্ব সম্পত্তি হয়? এই ধরনের মিথ্যা, উদ্ভট তথ্য সম্বলিত রিপোর্টকে পাঠকগন কোন মানের সাংবাদিকতা মনে করবে???

 

কালেরকন্ঠের দাবী ঢাকা সেনানিবাসের গল্ফ ক্লাবের উল্টো দিকে নিকুন্জ্ঞ -১ এর সড়ক নং-৬, এ “আজিজ রেসিডেন্স” নামের একটি বিশাল আলিশান বাড়ির মালিক জেনারেল আজিজ। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় নিকুঞ্জ -১ এর ৬ নং সড়কে ঐ নামের কোন বাড়ীর অস্তিত্বই নেই। এমন কি কুর্মিটলা গল্ফ ক্লাবের উল্টোদিকে ঢাকা সেনানিবাসের ৬ নং সড়কেও ঐ নামের কোন বাড়ীর অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই, জেনারেল আজিজের মালিকানার প্রশ্ন তো পরের বিষয়। জেনারেল আজিজের চরিত্র হরনের উদ্দেশেই যে এই মিথ্যা তথ্য কালেরকন্ঁট এবং মানবজমিন পরিবেশন করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। 

 

কালের কন্ঠ দাবী করেছে বাড্ডার সাঁতারকুলে মগারদিয়ার পূর্ব হাররদিয়া মৌজায় প্রায় ২৩৫ বিঘা জমি দখলে রয়েছে আজিজ আহমেদের ভাই হারিছ আহমেদ ও স্থানীয় এমপির ছেলে হেদায়েতউল্লাহ রনর। হাজারীবাগ মডেল টাউনেও আজিজ আহমেদের ভাই হারিছ আহমেদ ও হেদায়েতউল্লাহ রনর নামে ১১টি প্লট রয়েছে। হেমায়েতপুর আলিপুর ব্রিজের পাশে মাকান রিভারভিউ হাউজিংয়ে হাসান হারিছ আহমেদ ও জোসেফের নামে ২১টি প্লট আছে। সাবেক সংসদ সদস্য জনার রহমতুল্লাহর বড় ছেলে এপেক্স প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিঃ এর পরিচালক জনাব হেদায়েতুল্লাহ মানব জমিনের ০৫ জুনের ঐ একই প্রতিবেদনের বিরূদ্ধে তার স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলীপি গত ১০ জুন ২০২৪ তারিখ মানব জমিনের ২ নং পৃস্ঠায় প্রকাশিত হয়। ঐ প্রতিবাদলিপিতে জনাব রহমতুল্লাহ আরো উল্লেখ করেছেন যে বাড্ডার সাতারকুলে মগারদিয়া এলাকায় গত ৩০ বছর যাবত জনাব হেদায়েতুল্লাহদের পৈত্রিক ৩৬০ বিঘা জমি রয়েছে।সুতরাং অপরের জমি দখলের দাবী সম্পূর্ন মিথ্যা এবং মানহানিকর। এছাড়াও কালেরকন্ঠ দাবী করেছে যে জেনারেল আজিজ আহমেদ এর ছোট ভাই হারিস এবং হেদায়তুল্লাহর নামে ঢাকার হাজারীবাগে নাকি ১১ টি প্লট, হেমায়েতপুর আলিপুর ব্রিজের পাশে মাকান রিভারভিউ হাউজিং এ নাকি ২১ টি প্লট আছে এবং জোসেফের নামে নাকি সিলিকন সিটি তে ২০০ কাঠা জমি আছে।এই তথ্যটিগুলি সম্পূর্ন মিথ্যা এবং অসৎ উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত বলে ঐ প্রতিবাদলীপিতে দাবী করা হয়েছে। আমাদের অনুসন্ধানে যানা যায় এই সকল তথ্যও সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোঁযাট এবং অসৎ উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত। খোজ নিয়ে আরো জানা যায় ঢাকা বা কোথাও হারিছ - জোসেফ এর নামে কোথাও তাদের কোন প্লট বা জমি নাই।

 

কালের কন্ঠও লিখেছে, আশুলিয়া, সাভারে জেনারেল আজিজের নাকি ২১ বিঘা জমি এবং মনোসন্তোষপুর মৌজায় নাকি ৫০ বিঘা জমি আছে যার পাওয়ার অব এটর্নী নাকি জেনারেল আজিজ নিজ নামে নিয়ে রেখেছেন। খোঁজ নিয়ে যানা যায় যে এই তথ্যও মিথ্যা। আশুলিয়ায় জেনারেল আজিজের নামে বায়না করা ৪৯ .৫০ শতাংশ এবং ২৯.০০ শতাংশ জমির খোঁজ পাওয়া যায়, যা পরবর্তীতে কেনা হয় নাই। তাছাড়া খোঁজ নিয়ে জেনারেল আজিজের নামে আশুলিয়া সাভারে অন্য কোন জমির “পাওয়ার অব এটর্নী” নেওয়ার কোন রেকর্ড পাওয়া যায় নাই। কালের কন্ঠ পত্রিকার এই রিপোর্ট ও অসত্য এবং নিঃসন্দেহে বলা যায় অসৎ উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত। 

 

কালের কন্ঠ ও দাবী করেছে যে মোহাম্মদপুর রামচন্দ্র মৌজায় আর এস ৫৮২ দাগে জেনারেল আজিজের নাকি ৪ কাঠার ২ টি প্লট আছে যার মূল্য নাকি ৬ কোটি টাকা। আমাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঐ দাগে জেনারেল আজিজের বর্তমানে কোন প্লটই নাই। মানব জমিনের এই দাবী সম্পূর্ন অসত্য তথ্যনির্ভর। 

 

কালের কন্ঠ লিখেছে মিরপুর সিরামিক সংলগ্ন ১০ তলা বাড়ীটি এবং মিরপুর সিকামিকের উল্টো দিকে ০৩ কাঠার একটি টিনশেডের আর একটি বাড়ী রয়েছে। আরো অনুসন্ধান করে জানা যায় যে, মিরপুর সিরামিক সংলগ্ন ১০ তলা বাড়ীটি নির্মানে জেনারেল আজিজ ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন এবং ৪ টি ফ্লোর (০৮ টি ফ্লাট) বিভিন্ন জনের নিকট বিক্রয় করেছেন। এছাড়া মিরপুর সিকামিকের উল্টো দিকে ০৩ কাঠার টিনশেডের যেই বাড়ীর কথা বলা হয়েছে সেইটি আসলে ০২ কাঠার একটি প্লট যেটি ২০০৭ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছেন এবং মালিকের মৃত্যু পরবর্তী মামলার দীর্ঘসূত্রীতা কাটিয়ে ঐ ০২ কাঠার হাউজ বিল্ডিং হতে সেল পারমিশনের অপেক্ষায় রয়েছে। 

 

কালের কন্ঠ দাবী করছে ঐ রিসোর্টের মালিক জেনারেল আজিজের ছোট-ভাই জোসেফের বন্ধু যে নাকি ঐ রিসের্টের ১০০ বিঘা জমি জোড় করে দখল করেছে। নতুন গল্প বানানের চেস্টা কালেরকন্ঠের। কারন মানব জমিন পত্রিকা গত ০৫ জুন ২০২৪ দাবী করেছিল যে নরসিংদীর মাধবদী রাইনাদী দিঘীর পাড় এ অবস্থিত “হ্যারিটেজ  রিসোর্ট” রিসোর্টে নাকি জেনারেল আজিজের  আংশিক সেয়ার আছে। তাছাড়া ইতিপূর্বে “হ্যারিটেজ  রিসোর্ট” রিসোর্টের পক্ষ থেকে মানবজমিনের ০৫ জুনের এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ করেছিল যা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত যার কপি আমাদের হস্তগত হয়েছে। 

 

 কালের কন্ঠের রিপের্টে বলা হয়েছে যে শ্যামলাদি কলাতিয়া জমজম হাউজিং এ জেনারেল আজিজের নাকি দুই দাগে  ৮০ শতাংশ এবং ৬০ শতাংশ জমি রয়েছে যা মিথ্যা। খোঁজ নিয়ে যানা যায় জেনারেল আজিজ অবসরে যাওয়ার পর ২০২২ সালে সেখানে ৩২ শতাংশ ডোবা জমি গত ২০২২ সালে এবং ২০২৪ সালে সেখানে ৩০ শতাংশ ডোবা জমি ক্রয় করেন। কালেরকন্ঠের এই তথ্যও অতিরন্জিত। 

 

শ্যামলী স্কুলের পাশে আরএস ২৮৮৬ দাগে নাকি ০৫ কাঠার একটি প্লট ছিল যা সে তার বোনকে লিখে দিয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায় জেনারেল আজিজের ঐ দাগে কোল প্লটই ছিল না, তাই বোনকে লিখে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নই আসেনা।

 

কালেরকন্ঠ দাবী করেছে যে আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং এ বাড়ী নং ৫৪/১৯ এব প্লট টি নাকি দখল করে জোসেফ বাড়ী করেছে যাহা মিথ্যা। খোঁজ নিয়ে যানা যায় ঐ প্লটটি তাদের পিতার নামে ক্রয় করা যেখানে ডেপেলপারকে দিয়ে অংশীদারিতে বর্তমান বাড়ীটি নির্মান করা হয়েছে। ৫৪/১৯ বি এর প্লটটি আসিফের মার নামে যা তার নানার থেকে পাওয়া। 

 

জেনারেল আজিজ ০৪ বছর বিজিবির মহাপরিচালক এবং ০৩ বছর সেনাবাহিনী প্রধান হিসাবে যথাক্রমে বিডিআর বিদ্রোহ পরবর্তী বাংলাদেশকে কঠিন এক পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন, সেনাবাহিনী ও বিজেবিকে একটি সুশৃংখল বাহিনীতে রূপান্তর করেন। নিজ মনণ ও মেধা দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে তিনি সরকারকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। জেনারেল আজিজ দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে দুই দুইটি ডিসিপ্লিনারি বাহিনীর সর্বোচ্চ পদ মোট ৭ বছর কমান্ড করেছেন। অবসরে যাওয়ার তিন বছর পর কেন হঠাৎ দেশি-বিদেশি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছেন এ নিয়ে দেশের জনসাধারণ চিন্তিত, এমনকি বিশ্বের বৃহৎ পরা শক্তির নিষেধাজ্ঞা সব মিলিয়ে ভিন্ন কিছু নয়তো? 

 

জেনারেল আজিজ একজন ব্যক্তিই কেবল নন, সাবেক সেনাপ্রধান হিসাবে তিনি এখনও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি যদি কেবল একক ব্যক্তি হতেন তাহলে সদ্য আমেরিকার কর্তৃক ঐ দেশে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া, মানব জমিনের ০৫ জুনের একটি মিথ্যায় ভরপুর রিপোর্ট এবং সদ্য প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মানুষ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনামের সাথে তার নাম জড়াতোনা। 

 

দেশের ক্রন্তিকালে গত ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে বিজিবি মহাপরিচালক হিসাবে দেশের প্রতি জেনারেল আজিজের অবদান, বিজিবিকে পুনর্গঠন করন এবং সেনাপ্রধান হিসাবে জেনারেল আজিজের নেতৃত্বে করোনাকালীন সেনাবাহিনী দেশের জনগনকে দেয়া সেবা, সেনাবাহিনীর আধুনীকায়ন সহ শত অর্জন থাকা সত্ত্বেও  দেশপ্রেমিক সাবেক এই সেনাপ্রধানকে মানসিক ও সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য দেশি-বিদেশি মিডিয়া ও বৃহৎ পরাশক্তি সহ দেশীয় কিছু সুশীল সমাজের ব্যক্তিত্ব উঠে পড়ে লেগেছে, এটা সহজেই অনুমেয়। এ ধরনের মন গড়া মিথ্যা প্রতিবেদন দেশের মানুষ মোটেও আশা করেনা। আমরাও এর প্রতিবাদ করছি এবং সত্য নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানাচ্ছি।

Share This