চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষ হয়েছে। এতে লরির নিচে চাপা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় ইঞ্জিনে থাকা ট্রেনের দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হাই (৬০)। তার বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দিদার কলোনিতে। তিনি ওই এলাকায় থাকা দোকানগুলোর নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন।
আহত দুজন হলেন— লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক) মনিরুল ইসলাম ও সহকারী লোকোমাস্টার মো. আলমগীর। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে মালবাহী একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লরি রেললাইনে ঢুকে পড়ে। লরিটি সরাসরি ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, গেট থাকলেও ঘটনাস্থলে গেটম্যান গেট ফেলেননি। গেটম্যানের অবহেলা রয়েছে। দুর্ঘটনার পর লরির চালক পালিয়ে গেছেন। পাহাড়তলী ও কুমিল্লার লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধারের জন্য এসেছে। ট্রেনের বাকি মালবাহী বগিগুলো আবার সিজিপিওয়াই স্টেশনে নিয়ে আসা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রাক ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। লাইনটি শুধু মালবাহী ট্রেন ও কনটেইনার পরিবহনের জন্য ব্যবহার হয়। এতে যাত্রীবাহী কোনো ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না।